এখন বসন্তকাল। তবে মুম্বাই শহরে তার ছোয়া মেলা ভার, আসলে ভারতবর্ষের বেশির ভাগ প্রান্তেই শীত, গ্রীষ্ম আর বর্ষা ছাড়া আর কোনো ঋতুরই স্পর্শ পাওয়া যায় না। মন খারাপ করে। ইচ্ছে করে, কবির ভাষায় যে ভাবে ঋতুর বর্ণনা শুনেছি, সে ভাবেই উপলব্ধি করি। কিন্তু তা হবার না। সকাল বেলা যখন অফিস এর কম্পাউন্ড এর মধ্যে হ্নাটি, তখন রাস্তায় পরে থাকা রাধাচূড়া ফুলের রাশি মনে করিয়ে দেয় "আজি'বসন্ত".
তেমনি এক সকাল, বিমর্ষ মন, উদ্ভ্রান্তের মত চলেছি অফিস এর দিকে। কাজে মন লাগছে না কদিন ধরে। কেবলি মনে হচ্ছে , দূরে কোথাও চলে যাই।শরীর না,মনে ক্লান্তি।এমন ক্লান্তি ,যা প্রকাশ করাও ভার,বোঝাও ভার। হঠাতই হাটতে হাটতে সেই রোজকার দেখা হলুদ রাধাচূড়ার রাশি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো,মনে মনে রচনা করলাম একটি কবিতা, মানে ছড়া বলাই বোধহয় ভালো,আর' বলা ভাহুললো, যে মনের মধ্যের এই রচনা মনটাকেই অনেক প্রফুল্ল করে দিল। বাংলা কবিতা লিখিনি কখনো সেঅর্থে,কে জানে কেমন হযেছে। ......
বিষন্ন এই মনে, প্রানের সঞ্চার কর
সুদীর্ঘ এই গ্রীষ্মকালে মধুর বর্ষণ ঝরো
শুস্ক, ক্লান্ত, অবিশ্রান্ত
আজি হৃদয় বড় উদ্ভ্রান্ত
ফুঁটে উঠুক ফুলের রাশি
হৃদ মাঝরে ফিরে আসুক আজি বসন্ত।
মনটি আমার যাযাবর
কিন্তু দেহটি পরেছে আটকা
সময় পেলেই স্বপ্ন দেখে
কত টাটকা টাটকা
সত্যি না , সেই স্বপ্ন রাজ্যে এখন ঋতু অনবদ্ধ
হৃদ মাঝরে ফিরে আসুক আজি বসন্ত।
স্রোত নেমেছে মানুষের
রাস্তা জোড়া ভিড়
নিঃশ্বাস মোর আবদ্ধ প্রায়
কোথায় মিষ্টি নীড় ?
সেই ভিড়েতেই মন যে খোঁজে প্রানের সান্নিদ্ধ
হৃদ মাঝরে ফিরে আসুক আজি বসন্ত।
সুন্দর এই ধরিত্রীর কত রূপের বাহার
কোথাও বা শস্য শ্যামলা কোথাও ধুম্র পাহাড়
মনের আঁখি খুলি যখন দেখতে তখন পাই
প্রকৃতিটি শ্যামের মত আমিই তো তার রাই
চারিদিকেই ঝরছে যে প্রেম, আকুল, অক্লান্ত
হৃদ মাঝরে আসন পাতুক চির বসন্ত।
স্রোত নেমেছে মানুষের
রাস্তা জোড়া ভিড়
নিঃশ্বাস মোর আবদ্ধ প্রায়
কোথায় মিষ্টি নীড় ?
সেই ভিড়েতেই মন যে খোঁজে প্রানের সান্নিদ্ধ
হৃদ মাঝরে ফিরে আসুক আজি বসন্ত।
সুন্দর এই ধরিত্রীর কত রূপের বাহার
কোথাও বা শস্য শ্যামলা কোথাও ধুম্র পাহাড়
মনের আঁখি খুলি যখন দেখতে তখন পাই
প্রকৃতিটি শ্যামের মত আমিই তো তার রাই
চারিদিকেই ঝরছে যে প্রেম, আকুল, অক্লান্ত
হৃদ মাঝরে আসন পাতুক চির বসন্ত।
আরিত্রা চক্রবর্তী সেনগুপ্ত
pic courtesy google images